ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রকৌশলী ও সহকারী অধ্যাপক আবু তালেব আজাদ লিমটন (লিমটন আজাদ)। সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে তাঁকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪৫মিনিটে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টীবাড়ী ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে রাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের বাড়িতে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হলে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সাপ্টীবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সুদান চন্দ্র রায়, বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল মান্নান, প্রভাষক (অবঃ) খাবেদুর রহমান প্রমুখ। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৫টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টীবাড়ী ইউনিয়নের নায়েকগড়স্থ নিজ বাসায় আবু তালেব আজাদ লিমটন (লিমটন আজাদ) গুরত্বর অসুস্থ্য হলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫বছর। আবু তালেব আজাদ লিমটন (লিমটন আজাদ)র মৃত্যুর খবরে লালমনিরহাটের বিভিন্ন অঙ্গনে এবং তাঁর স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আবু তালেব আজাদ লিমটন (লিমটন আজাদ)র পরিবারে স্ত্রী, ১ছেলে ও ১মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রকৌশলী ও প্রভাষক আবু তালেব আজাদ লিমটন (লিমটন আজাদ) কর্মময় জীবনে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টীবাড়ী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। সেই সাথে তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন, কিছুদিন সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে জড়িয়ে ছিলেন। পরে বাম ধারার রাজনীতি আমৃত করেছেন। ইংরেজি শিক্ষাকে বিকশিত করতে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।